ipl লাইভ

ইন্ডিয়া ভার্সেস অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লাইভ  









আজ রবিবার, ১৫ই জুন, ২০২৫। সন্ধ্যা প্রায় শেষ, রাতের শীতল বাতাস বইছে। দিনের বেলার ব্যস্ততা শেষে অনেকেই এখন টিভির সামনে বসে। আজ ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। এই মুহূর্তে ধারাভাষ্যকারদের গলা শোনা যাচ্ছে, এবং স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে লাইভ স্কোরবোর্ড।

ম্যাচের পরিস্থিতি:

অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ১৮০ রানের এক বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে ভারতের সামনে। তাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই কিছু বিধ্বংসী শট খেলে দ্রুত রান তুলেছিল, যদিও ভারতীয় স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো কামব্যাক করে কিছু উইকেট তুলে নেয়।

ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরু:

ভারতের ওপেনাররা শুরুটা করেছিলেন সতর্কভাবে। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান তোলেন, যা একটি ভালো ভিত্তি স্থাপন করে। রোহিত কিছু দৃষ্টিনন্দন পুল শট খেলেন, আর বিরাট নিজের ট্রেডমার্ক ফ্লিক শট দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করেন।

উত্তেজনা বাড়ছে:

কিন্তু নবম ওভারে এসে অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স এক ওভারেই রোহিত এবং সূর্যকুমার যাদবের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। স্টেডিয়াম জুড়ে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। এরপর ক্রিজে আসেন রিশভ পান্ত। তার আগমনে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার হয় ভারতীয় ইনিংসে।

পান্তের ঝড়ো ইনিংস:

পান্ত, নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে, প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে শুরু করেন। তিনি দ্রুত রান রেট বাড়াতে থাকেন। কিছু অসাধারণ শট, বিশেষ করে তার রিভার্স সুইপ এবং স্লগ সুইপ দর্শকদের মুগ্ধ করে। তিনি মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন।

শেষ ওভারের টান টান উত্তেজনা:

শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মিচেল স্টার্কের হাতে বল। প্রথম বলে পান্ত একটি সিঙ্গেল নেন। দ্বিতীয় বলে জাদেজা ডিপ মিড-উইকেট দিয়ে একটি চার মারেন। তৃতীয় বলে তিনি আবার একটি সিঙ্গেল নিয়ে পান্তকে স্ট্রাইক দেন। এখন শেষ ৩ বলে প্রয়োজন ১০ রান।

সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তটি আসে চতুর্থ বলে। স্টার্কের একটি ইয়র্কার লেন্থের বল, কিন্তু পান্ত নিজের কব্জির জাদুতে সেটাকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে - ছক্কা! স্টেডিয়ামের গর্জন আকাশ ছুঁয়ে যায়। ধারাভাষ্যকাররা চিৎকার করে ওঠেন, "What a shot! What a player!"

শেষ ২ বলে ৪ রান প্রয়োজন। পঞ্চম বলে পান্ত একটি সিঙ্গেল নিয়ে নন-স্ট্রাইকে যান। এখন শেষ বলে ৩ রান দরকার এবং স্ট্রাইকে জাদেজা। স্টার্কের শেষ বলটি ফুল টস, এবং জাদেজা সেটাকে স্কোয়ার লেগে ঠেলে দেন। বল বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল, কিন্তু একজন ফিল্ডার বলটি আটকে দেন। তারা দুটি রান নেন, এবং জাদেজা তৃতীয় রান নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়ান। ফিল্ডারের থ্রো আসে উইকেটকিপারের দিকে, কিন্তু জাদেজা শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিয়ে পৌঁছান ক্রিজে!

ভারত জয়ী!

স্ক্রিনে ফুটে ওঠে - ভারত ২ উইকেটে জয়ী!

রিশভ পান্তের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস এবং জাদেজার শেষ মুহূর্তের বীরত্বপূর্ণ দৌড় ভারতকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিল। খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে একে অপরের সাথে উদযাপন করতে শুরু করেন। ধারাভাষ্যকাররা পান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, এবং দর্শক সারিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বাঁধনহারা। এই ম্যাচটি দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

লাইভ স্কোর যদিও থেমে গেছে, কিন্তু এই ম্যাচের রেশ প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের মনে থেকে যাবে। এই ধরনের ম্যাচই ক্রিকেটকে এত জনপ্রিয় করে তোলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন