Redmi Note 8 একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ছিল, যা বাংলাদেশে বেশ সাড়া ফেলেছিল। যদিও এটি এখন বাজারে নতুন মডেলের মতো সহজলভ্য নয়, তবে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
ভালো দিক (Pros)
- ক্যামেরা (Camera): Redmi Note 8-এ ছিল একটি 48MP কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি সেন্সরটি দিনের আলোতে বেশ ভালো ছবি তুলতে পারত। এছাড়াও ছিল আল্ট্রাওয়াইড, ম্যাক্রো এবং ডেপথ সেন্সর, যা বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলার সুযোগ দিত।
- ডিসপ্লে (Display): এতে ছিল একটি 6.3 ইঞ্চির IPS LCD ডিসপ্লে যার রেজোলিউশন ছিল 1080 x 2340 পিক্সেল। ডিসপ্লেটি উজ্জ্বল এবং রঙগুলো বেশ প্রাণবন্ত ছিল, যা ভিডিও দেখা বা গেম খেলার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা দিত।
- পারফরম্যান্স (Performance): ফোনটি Qualcomm Snapdragon 665 প্রসেসর দ্বারা চালিত ছিল। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য (যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, হালকা গেমিং) এর পারফরম্যান্স যথেষ্ট স্মুথ ছিল।
- ব্যাটারি লাইফ (Battery Life): 4000mAh ব্যাটারি থাকায়, এটি সারাদিন চার্জ ধরে রাখতে পারত। এতে 18W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টও ছিল।
- ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি (Design & Build Quality): ফোনটির সামনে ও পেছনে গরিলা গ্লাস 5 প্রোটেকশন ছিল, যা এটিকে প্রিমিয়াম লুক দিত এবং স্ক্র্যাচ থেকে সুরক্ষা দিত।
দুর্বল দিক (Cons)
- লো-লাইট ফটোগ্রাফি (Low-Light Photography): দিনের আলোতে ক্যামেরা ভালো হলেও, কম আলোতে ছবির মান কিছুটা কমে যেত।
- চার্জিং স্পিড (Charging Speed): 18W ফাস্ট চার্জিং থাকলেও, কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী ফোনের তুলনায় এটি কিছুটা ধীর ছিল।
- সফটওয়্যার আপডেট (Software Updates): পুরোনো মডেল হওয়ায়, এখন এতে নিয়মিত সফটওয়্যার বা অ্যান্ড্রয়েড আপডেট পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
কার জন্য উপযুক্ত ছিল? (Who was it suitable for?)
Xiaomi Redmi Note 8 সেইসব ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত ছিল যারা একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন খুঁজছিলেন, যার ভালো ক্যামেরা, decent পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি থাকবে। এটি সাধারণ ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়া উপভোগ এবং হালকা গেমিংয়ের জন্য একটি চমৎকার প্যাকেজ ছিল।
যদিও এখন Redmi Note 8 একটি পুরোনো মডেল, তবে এটি তার সময়ে একটি অত্যন্ত সফল এবং জনপ্রিয় ফোন ছিল।
আপনার যদি Redmi Note 8 বা অন্য কোনো ফোন সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। Xiaomi Redmi Note 8 একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ছিল, বিশেষ করে যখন এটি বাজারে প্রথম আসে। এটি তার মূল্য অনুযায়ী বেশ ভালো কিছু ফিচার দিয়েছিল। এখানে এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং রিভিউ তুলে ধরা হলো:
Redmi Note 8-এর একটি বিস্তারিত রিভিউ
Redmi Note 8 ২০১৯ সালে বাজারে আসে এবং এর প্রধান আকর্ষণ ছিল এর কম দামের মধ্যে প্রিমিয়াম ফিচার।
১. ডিজাইন এবং ডিসপ্লে
- ডিসপ্লে: এতে ৬.৩ ইঞ্চি ফুল HD+ IPS LCD ডিসপ্লে রয়েছে, যা ওয়াটারড্রপ নচ ডিজাইনের। ডিসপ্লের রঙ উজ্জ্বল এবং বিস্তারিত দেখায়।
- বিল্ড কোয়ালিটি: ফোনটির সামনে ও পেছনে Corning Gorilla Glass 5 প্রোটেকশন আছে, যা এই দামের ফোনে একটি বড় সুবিধা ছিল। ফ্রেমটি প্লাস্টিকের তৈরি। এটি হাতে ধরতে বেশ আরামদায়ক ছিল।
- ডিজাইন: এর স্লিম ডিজাইন এবং কিছু সুন্দর রঙের ভ্যারিয়েন্ট এটিকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।
২. পারফরম্যান্স
- প্রসেসর: এতে Qualcomm Snapdragon 665 (11 nm) চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সাধারণ দৈনন্দিন কাজ যেমন ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং হালকা গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স দিতো।
- RAM এবং স্টোরেজ: বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যেত, যেমন ৩/৪/৬ জিবি র্যাম এবং ৩২/৬৪/১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এতে ডেডিকেটেড microSD কার্ড স্লট ছিল, যা স্টোরেজ বাড়ানোর সুযোগ দিত।
- গেমিং: মাঝারি গ্রাফিক্স সেটিংসে পাবজি বা ফ্রি ফায়ারের মতো গেম খেলা যেত, তবে খুব হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য এটি সেরা ছিল না।
৩. ক্যামেরা
- ব্যাক ক্যামেরা: এটিতে একটি কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ ছিল।
- ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর (f/1.8)
- ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর (f/2.2)
- ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো সেন্সর (f/2.4)
- ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর (f/2.4) দিনের আলোতে এর ক্যামেরা পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল। ডিটেইলস ভালো আসতো এবং রঙও স্বাভাবিক দেখাতো।
- সেলফি ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা (f/2.0) ছিল, যা ভালো মানের সেলফি তুলতে পারতো।
- ভিডিও রেকর্ডিং: এতে 4K@30fps এবং 1080p@30/60/120fps ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধা ছিল, সাথে gyro-EIS সাপোর্টও ছিল।
৪. ব্যাটারি এবং চার্জিং
- ব্যাটারি: ৪০০০ mAh এর নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ছিল, যা একদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ছিল।
- ফাস্ট চার্জিং: এটি ১৮W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করত।
৫. অন্যান্য ফিচার
- অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই (Android 9 Pie) সহ MIUI কাস্টম স্কিন নিয়ে বাজারে এসেছিল, পরে অ্যান্ড্রয়েড ১১ পর্যন্ত আপডেট পেয়েছিল।
- পোর্টস: এতে USB Type-C পোর্ট এবং ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক উভয়ই ছিল।
- সিকিউরিটি: পেছনে মাউন্ট করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ছিল, যা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ছিল।
৬. সুবিধা ও অসুবিধা (Pros & Cons)
সুবিধা:
- আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং গরিলা গ্লাস ৫ প্রোটেকশন।
- মূল্য অনুযায়ী ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স (দিনের আলোতে)।
- ভালো ব্যাটারি লাইফ এবং ফাস্ট চার্জিং।
- ডেডিকেটেড মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট।
- ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক এবং IR ব্লাস্টার (ইনফ্রারেড) ছিল।
অসুবিধা:
- কম আলোতে ক্যামেরার পারফরম্যান্স ততটা ভালো ছিল না।
- প্রসেসরটি হাই-এন্ড গেমিং বা খুব বেশি মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আদর্শ ছিল না।
- বর্তমানে (২০২৫ সালে) এটি একটি পুরনো মডেল, তাই আধুনিক স্মার্টফোনের তুলনায় এর পারফরম্যান্স এবং ক্যামেরা অনেকটাই পিছিয়ে।
এক কথায়: Redmi Note 8 তার সময়ে একটি "বাজেট কিং" হিসেবে পরিচিত ছিল। যারা কম দামে একটি ভালো ক্যামেরা, সুন্দর ডিজাইন এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের ফোন খুঁজছিলেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প ছিল। তবে বর্তমানে এটি পুরোনো মডেল হওয়ায়, নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে আরও আধুনিক এবং আপডেটেড মডেল বিবেচনা করা উচিত।
দামঃ
তিনটি ভ্যারিয়্যান্টের মধ্যে বাংলাদেশে সবগুলোই পাওয়া যাচ্ছে দুটি। সেগুলোর দাম হচ্ছে ৩/৩২ – ৳১৭,৪৯৯.. ৪/৬৪ – ৳১৮,৯৯৯ এবং ৪/১২৮ – ৳২০,৯৯৯।তো এখন অনেকেই বলতে পারেন যে, মোবাইলটি তো দুই বছর আগের তো আজকে রিভিউ লেখার কারণ। কারণ হলো মোবাইলটির খুবই ভালো পারফর্মেন্স। যা এখনো পর্যন্ত ধরে রেখেছে। আসলে এটা বলার বাইরে যে ফোনটি এখনো আগের মতো পারফর্মেন্স দিচ্ছে এবং এতে কোনো সমস্যা হয়নি। তার জন্য এটা লেখা।
Tags:
রিভিউ